কিভাবে একটি সেরা ডোমেইন নেম পছন্দ করবেন? [৭টি কিলার টিপস!]

নতুন অনলাইন বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন? বা নতুন ব্লগ তৈরি করে নিজের মারাত্মক আইডিয়া গুলো শেয়ার করে গোটা দুনিয়া তাক লাগিয়ে দিতে চাচ্ছেন? — অবশ্যই আপনার একটি ডোমেইন নেম প্রয়োজনীয় হবে, একটি ডোমেইন নেম আপনার ক্যারিয়ারের ডিজিটাল অ্যাড্রেস! যদি ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে ভুল হয়ে যায়, আপনি লেজিট কিছু গ্রাহক হারাবেন, তারা আপনার পাশের দোকানে চলে যাবে!

যদি সঠিক ডোমেইন নেমটি নির্বাচন করেন, কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে, কিছু বিক্রি হওয়ায় শুধু বড় কথা নয় কিন্তু, বড় কথা আপনার নাম ছড়াবে আপনার প্রোডাক্ট মানুষ দর্শন তো দিয়ে যাবে! আর একটা কথা আছে জানেন তো, যেটা দেখা যায় সেটাই বিক্রি হয়! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে একটি সেরা ডোমেইন নেম পছন্দ করবেন?

চিন্তা করার কিছু নেই, কেননা এই টপিকই আজ কভার করতে চলেছি!


সংক্ষেপে; ডোমেইন নেম কি?

ইন্টারনেটের প্রথমের দিকে কিন্তু কোন ডোমেইন নেম প্রয়োজনীয় ছিল না। কোন ওয়েবসাইট আক্সেস করার জন্য একটি নাম্বার যেটাকে আইপি অ্যাড্রেস বলা হয়, সেটা ব্যবহার করলেই হতো, যেমন- 172.217.10.142 — এটা হচ্ছে গুগলের আইপি অ্যাড্রেস, আপনি এই আইপি ব্রাউজারে প্রবেশ করিয়েও Google.Com ওয়েবপেজটি আক্সেস করতে পারবেন।

কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যখন মারাত্মকভাবে ইন্টারনেট বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ওয়েবসাইট গুলো সংখ্যা শতক থেকে হাজার ও লাখে চলে যেতে শুরু করে, তো সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটি সাইটের আইপি অ্যাড্রেস মনে করে রাখা প্রায় অসম্ভব ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। কম্পিউটার হয়তো সংখ্যা মনে রাখতে পারে, কিন্তু আমরা মানুষেরা শব্দ মনে রাখার বেশি পটু!

তারপরে ডোমেইন নেম আইডিয়া সামনে আসে, এখানেও আইপি ইউজ করা হয়। কিন্তু আপনাকে আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখতে হয় না, ডোমেইন নেম ব্রাউজারে প্রবেশ করালেই ব্রাউজার এক ডাটাবেজ থেকে যেটাকে ডিএনএস বলা হয় ডোমেইনের পেছনের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে বের করে এবং সার্ভারের সাথে কানেক্ট হয়ে ওয়েবপেজ ডাউনলোড করে!

যখন আমরা ডোমেইন নেম কি সেই টার্ম নিয়ে কথা বলি, আসলে সেটা হচ্ছে https:// এবং এক্সটেনশন (.com) এর মাঝখানের পার্ট। যেমন আমাদের ডোমেইন নেমটি হচ্ছে “wirebd”!

ডোমেইন নেম

Wirebd প্রধানত একটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েব ব্লগ, এখানে Wire, Wired এগুলো শব্দ দ্বারা প্রযুক্তি সাইটই ইঙ্গিত করা হয়। একটি শক্তিশালী ডোমেইন নেম দ্বারা কোন প্রকারের বিভ্রান্তি ছাড়ায় মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং বিশ্বাস করবে। আপনার ডোমেইন নেম থেকেই মানুষ বুঝে যাবে আপনার সাইট কি সম্পর্কিত! — তাই সঠিক ডোমেইন নেমটি নির্বাচন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যাপার।

সমস্যার ব্যাপারটি হচ্ছে, বেশিরভাগ সহজ মনে রাখার মতো ডোমেইন নেম গুলো আগে থেকেই বুক হয়ে রয়েছে। যেমন- shop.com ১৯৯৪ সালে রেজিস্ট্রেশন সফল করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আজকের দিনে প্রায় ৩৩ কোটির মতো ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে যেখানে কোটি কোটি .com ডোমেইন গুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পরে রয়েছে।

সহজ নাম গুলো প্রায় শেষ হয়ে গেছে এর মানে এটা নয় আপনি আপনার বিজনেস বা ব্লগের জন্য একটি সেরা ডোমেইন নেম পছন্দ করতে পারবেন না! — নিচে সেরা ডোমেইন নেম পছন্দ করার কিলার টিপস গুলো শেয়ার করা হলো!

সহজেই মনে রাখা যাবে এমন নাম নির্বাচন করুণ

ভুলে গেলে চলবে না যে ডোমেইন নেম সিস্টেমেরই কেন জন্ম হয়েছিলো, যাতে সহজেই নাম মনে রাখা যায়। মানুষের স্মৃতি শক্তির একটি লিমিট রয়েছে, আমরা নাম্বার মনে রাখতে তেমন পটু নয়, যখন ব্যাপার আসবে আলাদা আলাদা নানান নাম্বারের। যাইহোক স্নায়ুবিজ্ঞান বিজ্ঞানের খুব গভিরে প্রবেশ করতে চাচ্ছিনা, কোন ডোমেইন নেম নির্বাচন করার পূর্বে অবশ্যই মাথায় রাখবেন যাতে নামটি সহজেই কেউ মনে রাখতে পারে।

সঠিক করে বলা মুশকিল, কিন্তু যতো ছোট শব্দের নাম হয় ততোই বেটার, বিশেষ করে ৬-১৪ অক্ষরের বেশি নাম সিলেক্ট না করায় ভালো। আমি বলবো ছোট্ট একটি নাম খোঁজার চেষ্টা করুণ যেটাকে আপনি ব্র্যান্ড হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবেন। সব সময়ই মনে রাখবেন, “shorter is better” — অ্যালেক্সা  হাই-রাঙ্কে থাকা বেশির ভাগ ডোমেইন গুলোর নামই সংক্ষিপ্ত!

মানুষ সচরাচর ইউজ করে এমন ওয়ার্ড ডোমেইনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন, এতে ভালো মনে থাকবে। অথবা শুনতে কুল লাগে এরকম ও নাম পছন্দ করতে পারেন, Spotify এর নাম তো শুনেছেন রাইট? এটি বড় একটি অডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস প্রোভাইডার। এই নামের জন্ম কিভাবে হয়েছিলো জানেন? এই কোম্পানিটির দুই ফাউন্ডার একই বাসার দুই আলাদা রুমে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে একে অপরকে ডোমেইন নেম সাজেস্ট করছিল। তারপরে একজন ভুল করে একটি নাম শোনে যেটা হচ্ছে “Spotify” তারপরে নামটির জন্ম হয়ে যায়।

তবে আরো কিছু ম্যাটার মনে রাখা জরুরী, সেটা হচ্ছে নামটি সহজে মনে রাখার পাশাপাশি টাইপ করতে যেন সহজ হয় এবং উচ্চারণ করতেও যেন সহজ হয়। আপনার ভিজিটরদের জন্য নামের বানান বুঝাতেই দিন শেষ হয়ে যায়, তাহলে তো ওয়েবসাইট খোলার আগেই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বেস্ট হয় আপনার নির্বাচন করা নামটি কমপক্ষে ১০ জনকে শোনান, তারপরে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই যদি উচ্চারণ করতে আঁটকে যায় অবশ্যই নামটি আর সহজ করতে হবে আপনাকে।

নামের মধ্যে কী-ওয়ার্ড যুক্ত করে দিন

ডোমেইন নেমের সাথে কী-ওয়ার্ড যুক্ত করা থাকলে তো আর কথায় নেই, একেবারে সোনায় সোহাগা যাকে বলে। ভালো পারফর্ম করা ৬৩% ডোমেইন নেমে কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি ডোমেইন নেমে কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে এসইও’তে বুস্ট পাবেন। তবে সব সময়ই যে কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করতেই হবে এমনটাও নয়। যদি সম্ভব হয়, যদি কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করার পরেও ডোমেইন নেমটি সুন্দর লাগে এবং নেমটি প্রিমিয়াম না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করতেই হবে এমনটা মোটেও জরুরী নয়।

নামের মধ্যে কী-ওয়ার্ড যুক্ত করে দিন

কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনের সুবিধা হয় আপনার ওয়েবসাইটটি কি রিলেটেড সেটা বুঝতে, সাথে ইউজারদের ও সুবিধা হবে। কিন্তু মনে রাখায় যাবে না, এরকম কী-ওয়ার্ড ব্যবহার কখনোই উপযুক্ত নয়। BuyCheapBooksAndPens.com — এখানে উদাহরণ সরূপ কী-ওয়ার্ড হিসেবে “Buy Cheap Books and Pens” ব্যবহার করা হয়েছে, নামটি একনজরে দেখা মাত্রই ওয়েবসাইটটির সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন তো এতো বড় নাম কয় জনের মনে থাকবে?

বর্তমানে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টার্গেট করা কী-ওয়ার্ড অনুসারে ভালো ডোমেইন নেম খুঁজে পাওয়া যেটা এখনো ফ্রি রয়েছে এবং সবদিক থেকে পারফেক্ট। যাই হোক, যদি খুঁজে পাওয়া যায় তো না কেনার কোন মানে নেই, কিন্তু যদি না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে কী-ওয়ার্ড যুক্ত করতেই হবে এমনটা নয়। ছোট্ট, সহজেই মনে রাখা যাবে, ব্র্যান্ডেবল, লিখতে সহজ, উচ্চারণ করতে সহজ এমন একটি নাম নির্বাচন করুণ। “Amazon.com” ডোমেইন নেমটি “BuyBooksOnline.com” থেকে অনেক বেশি ব্র্যান্ডেবল, যতোই কী-ওয়ার্ড থাকুক না কেন ডোমেইনের মধ্যে!

সঠিক এক্সটেনশনটি নির্বাচন করুণ

.com এক্সটেনশন সকল সময়েরই কিং ছিল আর এখনো তার রাজত্ব ঠিক ততোখানিই! কিন্তু পছন্দের নামটি ডট কমের সাথে খুঁজে পাওয়া বড়ই মুশকিলের যেখানে প্রায় সব ডোমেইন গুলোই বুক হয়ে গেছে। তবে আলাদা অনেক ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন, এতে সমস্যা হবে না।

বিশেষ করে যদি বাংলাদেশের জন্য সাইট তৈরি করতে চান, সেক্ষেত্রে .com বেশি রেকোমেন্ডেড, অনেকে তো ওয়েব অ্যাড্রেস বলতেই .com বোঝে। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনের কাছে প্রায় সকল ডোমেইন এক্সটেনশনই সেইম, কন্টেন্ট এবং এসইও ম্যাথড ফ্যাক্টর করে।

সেরা ডোমেইন নেম এক্সটেনশন

অনেক .com ডোমেইন পাওয়া যায় যেগুলো কেউ আগে কিনে পরে প্রিমিয়াম হিসেবে সেল করে। যদিও নতুন ওয়েবসাইটের জন্য প্রিমিয়াম ডোমেইন কেনা রেকোমেন্ডেড না, তবে রেগুলার প্রাইসের মধ্যে পছন্দের .com ডোমেইনটি পেয়ে গেলে সর্বদাই ভালো হবে!

বর্তমানে অনেক নতুন এক্সটেনশন যুক্ত হয়েছে, যেগুলো ডাইরেক্ট আপনার সাইট ক্যাটাগরি রিপ্রেজেন্ট করবে। যেমন- .tech, .science, .shop, .xyz, ইত্যাদি! — এরা যেমন দামে সস্তা তেমনই মডার্ন ট্রেন্ড বলতে পারেন।

এখন আপনি হয়তো ভাবছেন, কোথা থেকে এই আলাদা আলাদা এক্সটেনশন গুলো কিনতে পারবেন? আপনি এক্সেলনোড(ExelNode.com) ট্রায় করতে পারে। আমরা দেশীয় ডোমেইন প্রভাইডার, আপনাকে ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোল প্রদান করবো সাথে নতুন/পুরাতন সকল এক্সটেনশন সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন। যদি .com ডোমেইন কিনতেই হয় সেক্ষেত্রে এক্সেলনোড থেকে প্রমোতে প্রথম বছরের জন্য ৫৫০ টাকায় .com, .২৫০ টাকায় .info এক্সটেনশন এবং ১২০ টাকায় .xyz এক্সটেনশন কিনতে পারবেন!

সঠিক এক্সটেনশন নির্বাচন অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে সমান গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্র্যান্ডেবল, সহজে মনে রাখার মতো, সহজ উচ্চারণ যোগ্য, সহজে টাইপ করা যাবে এরকম নাম সিলেক্ট করা।

এখন অনেকে হয়তো বলবেন, ব্র্যান্ডেবল নাম কিভাবে সিলেক্ট করবো বা এতো নামের আইডিয়াই বা কিভাবে পাবো? সমস্যা নেই নিচে আমি কিছু টুলস শেয়ার করেছি যেগুলো পারফেক্ট ব্র্যান্ডেবল নাম খুঁজতে আপনাকে সাহায্য করবে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ডোমেইন কিনতে পারেন

অনেক সুন্দর সুন্দর নাম অনেকে হয়তো বুক করে নিয়েছিল পূর্বে কিন্তু ডোমেইনটি রিনিউ না করাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে হয়তো। আপনি চাইলে সেই টাইপের ডোমেইন ও কিনতে পারেন। তবে এখানে ভালো বা খারাপ ব্যাপার দুটোই রয়েছে, তাই আপনাকে কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।

কেন মেয়াদ উত্তীর্ণ ডোমেইন কিনবেন?

পুরাতন ডোমেইনের আগে থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করা থাকে, যেখানে ডোমেইন কেনার পরেই সাথে সাথে কিছু ভিজিটর পেয়ে যেতে পারে। পুরাতন ডোমেইনে High domain authority রেটিং থাকতে পারে। তাছাড়া হতে পারে ডোমেইনটি হাই পেজ রাঙ্কিং এর মধ্যে রয়েছে, গুগল এখনো পেজ রাঙ্কিং অনুসরণ করে, ফলে পুরাতন ডোমেইন কিনলে এসইও তে বুস্ট পেতে পারেন।

আপনি expireddomains.net বা flippa.com/domains — থেকে এরকম পুরাতন ডোমেইন গুলো খুঁজতে পারেন। হতে পারে সামান্য পরিমাণে বুস্ট দেওয়ার পরেই আপনার নতুন সাইটটি ভালোভাবে পারফর্ম করতে শুরু করতে পারে।

কেন মেয়াদ উত্তীর্ণ ডোমেইন কেনার সময় সাবধান থাকতে হবে?

প্রথমত, আপনাকে গুগল করে দেখতে হবে আপনি যে ডোমেইনটি কিনতে চাচ্ছেন সেটা কোন ব্র্যান্ডকে রিপ্রেজেন্ট করতো কিনা, এবং সেই ব্র্যান্ডের এখনো অস্তিত্ব রয়েছে কিনা। তা না হলে আইনত ঝামেলায় পরে যেতে পারেন এবং নিজের নামে ব্র্যান্ড রেজিস্ট্রেশন করার সময় ঝামেলা হয়ে যাবে।

অনেকেই কেবল এই জন্য ডোমেইন রিনিউ করে না, হতে পারে নামটি গুগল থেকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে বা অ্যাডসেন্স থেকে ব্যান করা হয়েছে, এতে আপনার সাইট শুরুর আগেই কিন্তু শেষ হয়ে যাবে। তাছাড়া পুরাতন ডোমেইনে অনেক স্প্যাম সাইটে ব্যাকলিঙ্কিং করা থাকতে পারে, সে সকল ডোমেইন মোটেও ব্যবহার করা যাবে না। ahrefs.com/site-explorer এই টুলটি ইউজ করে ব্যাকলিংক গুলো চেক করতে পারবেন।

পুরাতন বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ডোমেইন একে যেভাবে এসইও তে বুস্ট প্রদান করতে পারে, ঠিক তেমনই এসইও তে নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলতে পারে। সুতরাং সকল বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে। নতুন ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে archive.org/web/ এখানে চেক করে দেখতে পারেন ডোমেইনটি আগে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিলো কিনা বা কোন সাইট হোস্ট করা ছিল।

তাছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ডোমেইন কেনার সময় ব্যাকলিংক গুলো আপনার সাইট ক্যাটাগরির সাথে কতোটা মানানসই সেটাও চেক করে দেখতে হবে। এক্সজিস্টিং ট্র্যাফিক গুলো যদি স্প্যাম সোর্স থেকে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে ডোমেইনটি কেনা থেকে বিরত থাকুন! আপনাকে অবশ্যই সকল ব্যাপার গুলো মাথায় রাখতেই হবে, যদি নিজে না নির্বাচন করতে পারেন চাইলে কোন এসইও এক্সপার্ট হায়ার করতে পারেন।

আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট স্লো কাজ করছে? সাশ্রয়ী/সুপার ফাস্ট শেয়ার্ড হোস্টিং খুঁজছেন? এক্সেলনোড (ExelNode.com) ট্রায় করুণ, “WIREBD” প্রমো কোডে ৫০% ছাড়! সাথে ফ্রি ২৪/৭ টেকনিক্যাল সাপোর্ট!

নাম নির্বাচনে যেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে

প্রথমত, ডাবল লেটার রয়েছে এমন নাম নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকুন, এতে বানানের ভুল হতে পারে এবং আপনার সাইট ট্র্যাফিক হারাবে। যেমন- Presssetup.com এরকম ডোমেইন নেম বেশিরভাগ সময়ই কনফিউশন তৈরি করতে পারে এবং মানুষ বানান ভুল করবে। ডাবল লেটার বাদ দিলে নামটি দেখতে ও টাইপ করতে বেশি ক্লিন মনে হবে এবং ব্র্যান্ডেবল হবে।

ডোমেইন নেমে কখনোই হাইফেন ইউজ করবে না, কখনোই না! বেশিরভাগ সময় স্প্যাম ডোমেইন গুলোতে হাইফেন ইউজ করা হয়। ধরুন কোন লেজিট সাইটের নাম banglabank.com এখন স্ক্যামার’রা bangla-bank.com নাম দিয়ে সাইট বানিয়ে মানুষ প্রতারনা করে। চিন্তা করে দেখুন তো যদি facebook.com না হয়ে face-book.com হতো সেটা কি এতো জনপ্রিয়তা পেতো? “আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে!”

ডোমেইনে নাম্বার ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন, এতে নামটি কঠিন হয়ে যায় অনেক সময় কতো নাম্বার সেটা মনে রাখতেও অসুবিধা হয়ে যায়। বাংলাদেশে যদিও ডোমেইনের শেষে 24 ইউজ করার এক বিশেষ ঝোঁক দেখতে পাওয়া যায়! — কিন্তু আমি বলবো, সেটা থেকে বিরত থাকায় ভালো। জাস্ট লেটার ইউজ করুণ, নো হাইফেন বা নাম্বার!

ডোমেইন নেম খোঁজার কিছু টুলস

ডোমেইন নেম শর্ট, ইউনিক, ও ব্র্যান্ডেবল হওয়া অত্যন্ত জরুরী। ব্র্যান্ডিং রেডি নাম চয়েজ না করে কখনোই আপনার ডোমেইনটি পারফেক্ট চয়েজ হবে না। গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ বেশিরভাগ সময়ই ব্র্যান্ড যাচায় করে প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তো আপনাকে একটি বেটার ব্র্যান্ড তৈরি করতে হবে, আর একটি ব্র্যান্ডেবল ডোমেইন পছন্দ করে সেটার সূচনা তৈরি হবে।

চিন্তা করে দেখুন, আজকের সবচাইতে হাই রাঙ্কিং সাইট গুলো ডোমেইন নেম কিন্তু ব্রান্ডেবল ক্যাটাগরিতে পরে। যেমন- Google, Amazon, IBM, Tesla, Yahoo — ইত্যাদি।

কিন্তু ইউনিক ও ব্র্যান্ডেবল নাম খোঁজা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়, যেখানে .com এক্সটেনশনকে মাথায় রাখতেই হয়। তবে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই, আপনার যথেষ্ট বাজেট থাকলে brandpa.com থেকে ব্র্যান্ডেবল ডোমেইন সাজেশন নিতে পারবেন এবং ডোমেইন কিনতে পারবেন।

তবে প্রিমিয়াম ডোমেইন কেনার মতো টাকা না থাকলে namelix.com থেকে ব্র্যান্ড নেম সার্চ করতে পারেন, এখানে আগে থেকেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউজ করে ব্র্যান্ড লোগো ডিজাইন দেখতে পাবেন ফলে একনজরেই নাম পছন্দ হয়ে যেতে পারে। সাথে আপনি এই টুল থেকে শর্ট নাম, বিভিন্য ডোমেইন এক্সটেনশন ফাঁকা রয়েছে কিনা সেটাও চেক করতে পারবেন।

তাছাড়া অনেক ডোমেইন নেম জেনারেটর রয়েছে যারা আপনার কী-ওয়ার্ড এর উপরে ভিত্তি করে ডোমেইন নেম জেনারেট করবে এবং সকল ফাঁকা এক্সটেনশন গুলোর রেজাল্ট প্রদর্শন করবে। বেশিরভাগ সময় আমি যে টুল গুলো ইউজ করি, domainwheel.com, namemesh.com, bustaname.com/word_maker — এই টুল গুলো অত্যন্ত কাজের এবং আপনার চাওয়ার থেকেও বেশি কিছু রয়েছে।

একটি সেরা ডোমেইন নেম পছন্দ করতে এই টুল গুলো অত্যন্ত সাহায্য করবে, কিন্তু আপনি কোন নামটি চয়েজ করবেন সেটা আপনার উপরে। সব ফ্যাক্টর গুলোকে একত্রিত করে একটি ক্লেভার নাম চয়েজ করবেন। আমি জানি ডোমেইন নেম চয়েজ করা অনেক বিভ্রান্তিকর ব্যাপার, কিন্তু আশা করছি এই পয়েন্ট গুলো কাজে লাগিয়ে ব্যাপারটি খানিকটা সহজ হয়ে যাবে।

দ্রুত কিনে ফেলুন

সকল স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করার পরে হয়তো একটি পারফেক্ট ডোমেইন নেম খুঁজে পেলেন, তো দেরি কিসের? এরপরের স্টেপটিই হচ্ছে জাস্ট সাথে সাথে ডোমেইন নেমটি রেজিস্টার করে ফেলুন। ExelNode থেকে অনেক এক্সটেনশন ডিস্কাউন্টে কিনতে পারবেন, তাছাড়া এরা সাথে সাথেই ডোমেইন অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে, মানে আপনার ডোমেইনটি আর অন্য কেউ কিনতে পারবে না।

অনেক সময় পছন্দের নামটি অনেক কষ্টে খুঁজে বসে থাকেন অনেকে, প্রত্যেক সেকেন্ডেই যেখানে কোন না কোন ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনার মোটেও রিস্ক নেওয়া উচিৎ হবে না।


আর্টিকেলটি নিঃসন্দেহে অনেক বড় ছিল, কিন্তু তারপরেও এতে সকল ব্যাপার গুলো ইঙ্কলুড করা সম্ভব হয় নি, আর এক সিঙ্গেল আর্টিকেলে সেগুলোকে ইঙ্কলুড করা সম্ভব ও নয়। তবে আশা করা যায়, আপনি একটি পারফেক্ট ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে মোটামুটি ভালো আইডিয়া পেয়ে গেছেন। চলুন, একনজরে সকল টিপস গুলোকে আমার ফিরে দেখা যাক…

জাস্ট নতুন ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার সময় এই টিপস গুলো অনুসরণ করুণ…

  • সহজ নাম নির্বাচন করুণ
  • সংক্ষিপ্ত নাম পছন্দ করুণ
  • সহজে বানান করা যাবে এমন নাম নির্বাচন করুণ
  • সহজে উচ্চারণ করা যায় এমন নাম সিলেক্ট করুণ
  • ব্র্যান্ডেবল নাম পছন্দ করুণ
  • নামের সাথে হাইফেন, নাম্বার, ডাবল ওয়ার্ড ইউজ করা থেকে বিরত থাকুন
  • ডোমেইন নেমে কী-ওয়ার্ড যুক্ত করুণ যদি প্রয়োজন পরে এবং উপরের টার্ম গুলোর বিঘ্ন না ঘটে
  • অবশ্যই চেক করে দেখুন, আপনি কোন কপিরাইট নাম ব্যবহার করছেন কিনা
  • অবশ্যই ভালো এক্সটেনশন নির্বাচন করুণ, যদিও .com সবার আগে রেকোমেন্ডেড কিন্তু বর্তমানে অনেক নতুন এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলো নাম ও দামের দিক থেকে স্মার্ট, সেগুলো ও ব্যবহার করতে পারেন
  • যদি মাথায় ভালো নামের আইডিয়া না আসে ডোমেইন নেম জেনারেটর টুল গুলো ব্যবহার করুণ
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে গবেষণা করে মেয়াদ উত্তীর্ণ বা পুরাতন ডোমেইন কিনতে পারেন
  • পছন্দের নামটি খুঁজে পাওয়ার সাথে সাথে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন, একটুও দেরি করা যাবে না

সেরা ডোমেইন নেম খুঁজে পাওয়া বা পছন্দ করা মোটেও পছন্দের গান খোঁজার মতো সহজ কাজ নয়। আপনার বিজনেস এবং ক্যাটাগরির উপরে ভিত্তি করে অনেক ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। তবে উপরের টিপস গুলো অনুসরণ করলে অনেকটা মাথা ব্যাথা কমিয়ে দিতে পারে।

আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পছন্দ করে থাকেন, তবে আশা করছি এক্সেলনোড (ExelNode) ডোমেইন/হোস্টিং কোম্পানিকেও আপনার ভালো লাগবে। টার্বো ফাস্ট ওয়েবসাইট হোস্টিং, সাশ্রয়ী দামে ডোমেইন কেনা এবং রিনিউ, সাথে ডেডিকেটেড ২৪/৭ সাপোর্ট থেকে আপনি মুগ্ধ হবেন! ওয়্যারবিডির প্রকাশিত বিস্তারিত রিভিউটি এখানে দেখে নিতে পারেন, অথবা এখান থেকে এক্সেলনোড (ExelNode.com) ভিজিট করতে পারেন।

এক্সেলনোড প্রো টিপস গুলো ইনবক্সে পেতে ভুলবেন না!

About the Author: ExelNode

You May Also Like

1 Comment

  1. Dear. আপনার আর্টিকেল পড়ে খুব ভাল লাগলো। একটি হেলপফুল আর্টিকেল। অনেকেরই উপকারে আসবে। ধন্যবাদ।
    আমার একটি প্রশ্ন – আমার পেপেল কার্ড নেই প্রিমিয়াম ডোমেন কিনবো কিভাবে ?

Leave a Reply

Your email address will not be published.

প্রিমিয়াম ওয়েব হোস্টিং জিতুন ফ্রিতে!

প্রিমিয়াম ওয়েব হোস্টিং জিতুন ফ্রিতে!

আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস প্রবেশ করিয়ে ১ বছর পর্যন্ত ফ্রি ওয়েব হোস্টিং জিতে নিন!

আপনি সফলভাবে সাবস্ক্রাইব করেছেন!